বীর মুক্তিযোদ্ধার রক্তে লেখা স্বাধীনতা… আর সেই বীর সৈনিকের মৃত্যুর পর তাঁর পাওনা সম্মানী ভাতা কি আত্মসাৎ করে নিচ্ছে ‘ভুয়া স্ত্রী’?
শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও, এমনই একটি ভয়ংকর অভিযোগ উঠেছে জামালপুরের বকশীগঞ্জে!
যে নারী পাঁচ বছর আগে মুক্তিযোদ্ধা মতি রহমানকে তালাক দিয়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন, তিনিই নাকি এখন আবার মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী পরিচয়ে ভাতা তুলে নিচ্ছেন!
প্রশ্ন উঠছে—❝তালাকপ্রাপ্ত কেউ কীভাবে একটি শহীদের পরিবারের অধিকার ভোগ করতে পারে?❞
পরিবারের আকুতি—বাবার সম্মানিতে অন্যায় কেউ হাত দেবেন না!
জামালপুরের বকশীগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মতি রহমানের পরিবারে নেমে এসেছে চরম ক্ষোভ ও বেদনার ঝড়।
পরিবারের দাবি—তালাকপ্রাপ্ত এক নারী জাল কাগজপত্র দেখিয়ে মৃত মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতা আত্মসাৎ করছেন দীর্ঘদিন ধরে।
আজ (৩০ অক্টোবর) দুপুরে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে মুক্তিযোদ্ধার ছেলে বাবুল মিয়া অভিযোগ করেন—
২০১০ সালে তাঁর বাবা আঙ্গুরী নামে এক নারীকে বিয়ে করেন।
কিন্তু ২০১৫ সালে তালাক হয়—নারীটি চলে যান বিদেশে।
তারপরও নানা কৌশলে নিজেকে আবার স্ত্রী হিসেবে দাবি করে বর্তমানে সেই মুক্তিযোদ্ধার ভাতার অর্ধেক অংশ ভোগ করছেন তিনি, যা পরিবার বলছে সম্পূর্ণ অবৈধ।
পরিবারের আক্ষেপ—
✅ বাবা দেশ স্বাধীন করেছেন
❌ অথচ বাবার মৃত্যুর পর তাঁর পাওনা ভাতা পাচ্ছেন না প্রকৃত পরিবার!
এদিকে অভিযুক্ত আঙ্গুরী বেগম দাবি করেন—
তালাকের পর আবার রেজিস্ট্রি করে তাদের বিয়ে হয়েছিল!
তাই তিনি বৈধভাবেই ভাতা পাচ্ছেন।
বিষয়টি আরও জটিল করেছেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক নওশেদ আলী।
তিনি জানান—তাদের নথি অনুযায়ী, আঙ্গুরীকে পুনরায় বিয়ে করেছিলেন মতি রহমান।
তাই তিনি আইনগত অধিকারেই ভাতা ভোগ করছেন।
এখন প্রশ্ন—
এই নথি কি সত্য? নাকি জালিয়াতির অভিনব কৌশল?
সরকারি ভাতা বণ্টনে কারা সুবিধাভোগী?
এবং মুক্তিযোদ্ধার পরিবার কি পাবে ন্যায্য প্রাপ্তি?
এই ঘটনার সুচারু তদন্ত এবং প্রকৃত উপযুক্তদের হাতে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
.png)